কিছু নিয়ম আত্মিক..

সব নিয়মই সামাজিক,সংস্কার ধর্মী বা পারিবারিক হয় না…. অন্তর চেতনা,যুক্তিবোধ,ভালোবাসা,শ্রদ্ধা থেকেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনেক রকম নিবেদন হয়। আজ যতটুকু যা কিছু করলাম বিরাট কিছু নিয়ম, বিধি – নিষেধ,সংস্কার এতকিছু ভেবে নয়। তবে অবশ্যই কিছুটা তো মানতে হয়েছেই। তবে বাকিটা ছিল নিখাদ কিছু মনে হওয়া থেকে। যেমন, যাঁদের উদ্দেশ্যে আজকে জল নিবেদন করতে এসেছি,আমার সেইসব পূর্বপুরুষদের মধ্যে  অনেকেই আমার হাতের রান্না খেতে খুবই ভালবাসতেন। তাদেরকে আমি যত্ন করে, ভালোবেসে,তাদের মনমতোন ভাবে রান্না করে সাজিয়ে গুছিয়ে খেতে দিতাম। এঁদের মধ্যে ছিলেন আমার ঠাকুমা শ্রীমতি বিভাবতি বসু,আমার বাবা ডক্টর দীপক কুমার বসু,আমার কাকা শ্রীযুক্ত শ্যামল বসু,বিপুল বসু,আমার জ্যাঠা শ্রীযুক্ত প্রদীপ কুমার বসু,আমার দাদু শ্রীযুক্ত কামাখ্যা চরণ মিত্র, আমার বড় মাসি শ্রীমতি পূর্ণিমা দাস,আমার জ্যাঠা শ্বশুর মশাই শ্রীযুক্ত সনৎ কুমার মিত্র ইত্যাদি আরো অনেকেই। তাই এই বিষয়টাকে কোনভাবেই আমি দুর্বোধ্য কিছু বলে মনে করিনি,মনে করি না। তাই একই রকম সাবলীল ভাবেই তাদের উদ্দেশ্যে আমার মনের মতো করেই সাজিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম নৈবেদ্যর থালি।অর্পণ করেছি জল। 🙏🙏🙏