কোটা সিস্টেম….ভাবনায় সোনালী

এতে আউটপুট এর কোয়ালিটি নিয়েও ডাউট তৈরি হয়।অনেক ধনী,অর্থবান পরিবারের মানুষজন শুধুমাত্র একটি বিশেষ কোটার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বছরের পর বছর ধরে,যুগের পর যুগ ধরে শিক্ষাগত,চাকরি গত,বিভিন্ন স্কলারশিপ গত সুযোগ-সুবিধা বা প্রিভিলেজ পেয়ে যাচ্ছেন,কোন এক যুগে তাদের পূর্বপুরুষরা বঞ্চিত হয়েছিলেন এই ভিত্তিতে। আর এর বাইরে থাকা মানুষজন যেন বিনা অপরাধে অপরাধী। তাই খেসারত দিয়ে যাচ্ছেন। এইভাবে মেধা বা যোগ্যতার ক্ষেত্রে অনন্ত কম্পেন্সেশনের ব্যাপারে আমাদের সেভাবে খুব একটা হেলদোল হয় না। বোধায় বিষয়টার সাথে সুন্দরভাবে মানিয়ে গুছিয়ে ঘরকন্যা করতে শিখে গেছি। অথচ অন্যদিকে মহিলাদের বিশেষ কিছু সুযোগ সুবিধার বিষয় হলে আমরা অনেকেই নারী পুরুষ নির্বিশেষে লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছি। সে ক্ষেত্রে আমরা কিন্তু মনে করছি না যে,একইভাবে তাহলে বলা যেতে পারে যে,মহিলারাও সমাজে যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত ছিলেন,পিছিয়ে ছিলেন,পিছিয়ে থাকতে বাধ্য হয়ে ছিলেন। তাহলে ইকুয়ালিটি বিফোর ল এই অনুযায়ী এটা তো স্বাভাবিক যে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোকে এগিয়ে থাকা মানুষগুলোর থেকে বেশি কিছু সুযোগ সুবিধা দিতেই হবে। যাতে তারা সমান পর্যায়ে এসে পৌঁছাতে পারে। তারপরে না হয় কম বেশির হিসেবে হবে। তখন কিন্তু আমরা অধৈর্য হয়ে বলি আর কতদিন সুযোগ নেবেন সুযোগের অপব্যবহার করবেন অথচ কোটা সিস্টেমের ক্ষেত্রে আমরা অনন্ত ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছি। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসরা আর কত যুগ নিজেদের ব্যাকওয়ার্ড বলে মনে করে স্বচ্ছন্দ বোধ করবেন? তাই ডিসক্রিমিনেশন কিন্তু সমাজের ওপর থেকে নিচ অব্দি সর্বস্তরেই আছে। যার ফলে বঞ্চিত আর বঞ্চনার ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যোগ্যতার,মেধার ক্ষেত্রে কোটা সিস্টেমের সাথে আপোষ ও কিন্তু অযোগ্যকে যোগ্য স্থান দিয়ে যোগ্যকে সেখান থেকে বঞ্চিত করা কেই বোঝায়।কাউকে ব্যক্তিগতভাবে ছোট না করেই বরং সবাইকেই যোগ্যতার দিক থেকে সমান হয়ে নিজেদেরকে প্রমাণ করার বিষয়টা কেই প্রাধান্য দিচ্ছি।এতে আশা করি কেউ ছোট হবেন না।