“ছলনা”
কলমে সোনালী
হাই হ্যালো,আমি আলো,তোমার খবর কি?
আমি নিশা,হারিয়ে আলোর দিশা,চলছি একাকী।
আরে আরে একা কেন?আমি তো আছি,
সুখ দুঃখের সাথী,রাধার যেমন কানু ছিল,
কালো মানিকের বাতি।
এমন করে বলো না,শুনলে করে ভয়,
নতুন করে জ্বেলোনা আলো,যাতে নিভলে কষ্ট হয়।
আরে আরে কষ্ট কিসের?আমি সবার মতো নই,
একবার হাত ধরেছি যখন,তুমি সাত জন্মের সই।
না না থাক, বলো না প্লিজ,ভাবলে করে ভয়,
সব পেয়েছি দেশের রাজা,আমার জন্য নয়।
আরে আরে বলছো কি সব,আমি অন্তর্যামী,
তুমি হলে খাঁটি হিরে,সব চাইতে দামি।
দোহাই তোমার বলোনা এমন,যাতে বাঁচার সাধ জাগে,
অস্ত যাওয়ার আগে যেমন,সূর্যতে রং লাগে।
উফ: তোমায় নিয়ে পারিনা আর,কি যে বলো ছাই?
কি করলে যে মানবে তুমি?সেটাই ভেবে যাই।
আচ্ছা শোনো, বলি তাহলে, তুমি আমার কে,
রথের রশির রাজা আমি, তুমি – সুদর্শনা যে।
বাইরে আমায় খুঁজো না বেশি,অনুভবে তেই রেখো,
তোমার সব আঁধার কাটিয়ে,ঠিক আলো ফোটাবো দেখ।
থামো,থামো বলো না আর,স্বপ্ন এঁকো না চোখে,
বুক ধরফর করছে এবার,চাইনা যেতে ঠোকে।
মাঝে মাঝে এমন বল,থই পাইনা আর,
অভিমান যে আমারও হয় !মন করে তোলপাড়।
সত্যি বলছো?তুমিই সে?আমার মনের মানুষ?
স্বপ্নের ঘোরে দেখছি না তো? ক্ষণিক আলোর ফানুস?
এবার কিন্তু বকছো বেশি,শুনবো না কিছু আর,
তোমায় ভালোবাসি বলে,দেবনা কোন ছাড়।
আচ্ছা বাবা, ঢের হয়েছে,নাক মুলছি আমি,
তুমিই আমার মনের রাজা,আমি সুদর্শনা রানী।
গল্পটা ঠিক এই অব্দি,ঠিক ঠাক ই ছিল,
বদলে শুধু গেল তখন,যখন, রাজা
দেশান্তরে গেল।
দেশান্তরে গিয়ে রাজার, হঠাৎ কি যে হল?
রাজদণ্ড ছেড়ে রাজা, হাতে মানদন্ড নিল।
মানদণ্ডের এমন ই মোহ, যে,রাজধর্ম টলায়,
তাই রাজ ছত্রের নীচে রাজা,বণিক বনে যায়।
এদিকে,রাজার আসার আশায়,আশায়,
রানীর প্রতিটি দিনই যুগ,
জাগো রানী,খোলো চোখ,কেটে গেছে হুজুগ।
Very nicely written
thank you