জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে উঠে আসা কিছু কথা।
কলমে সোনালী
# মানুষ তাকে নিয়েই বেশি সমালোচনা করে।যার মত সে হতে চায় কিন্তু হতে পারে না।
# নারীকে চরিত্রহীনা বলে আনন্দ পায়,
কিছু চরিত্রহীন পুরুষ।
# ভাই বোনের চরিত্রে ফাটল ধরলে,
মুখ দেখাদেখি বন্ধ হলে বা
সন্তান,বাবা মার থেকে মুখ ফিরিয়ে
নিলে সমাজে তা স্বাভাবিক।
কিন্তু স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে ফাটল
ধরলে বা ভালোবাসা না থাকলে তা
যে কোনো অজুহাতে সারাজীবন
বেঁধে রাখতেই হবে,না হলেই তা অস্বাভাবিক।
# কৃত্রিম হাসি আর চরা মেকাপও ঢাকতে
পারে না অন্তরের শূন্যতা,চরিত্রের রিক্ততা।
# মানুষ কমবেশি সুন্দরের পূজারী,যুগ যুগ ধরে তা প্রমাণিত সেটা রুপ ই হোক বা গুণ ই হোক।এর ব্যতিক্রম ঘটলে তার উত্তর যে সব সময় দার্শনিকই হবে তার কোনো মানে নেই,প্রচ্ছন্ন স্বার্থও হতে পারে maybe successs trategy.
# অনেক সময় মানুষ খেলতে এসে নিজেই
খেলনা হয়ে যায় আর তখন সেটা মেনে নিতে পারেনা।
# নষ্ট আধার কখনোই বহু গুণের উৎস বা অনুশীলন ক্ষেত্র হতে পারে না।
# প্রত্যাঘাত উৎকট বা অহেতুক বলে মনে হলেও তার আড়ালে থাকা আঘাত কিন্তু শতগুণ শক্তিশালী হয়়।
# কে সন্দেহজনক আর কে সন্দেহপ্রবণ তা না নির্ধারিত হওয়া পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্তই সঠিক হতে পারে না কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তা নির্ধারণ করবে কে?প্রমাণ করা সহজ কাজ না।
# মানুষ দুই ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মাত্রায় প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে পড়ে।
১/ সংগোপনে তার করা কোন মিথ্যাচার ধরা পড়ে গেলে।
২/ যে দোষ সে করেনি বা করার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারেনা তা চক্রান্ত করে,তার ওপর আরোপ করা হলে।
# নষ্ট নারী চেনার বিভিন্ন লক্ষণে আমাদের সমাজের অনেকেই পিএইচডি ডিগ্রিধারী।
জানা যাক নষ্ট পুরুষ চেনার কি কি লক্ষণ…..
১/ উড়ে এসে জুড়ে বসে রাতারাতি কারোর ভরসার বা কাছের মানুষ হয়ে ওঠার চেষ্টা করা। এমন হাবভাব করা যেন সেই মানুষটির ভালো-মন্দ ঠিক ভুল সব কিছুর সাথেই সে বহু যুগ ধরে জড়িয়ে আছে তাই সেই মতো হাবভাব করা।
২/ স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে বা অন্য কারো সাথে রাতারাতি আবার নতুন স্বার্থে জড়িয়ে পড়লে,
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আগের মানুষটির যোগাযোগ সূত্রকে একটু একটু করে না না
অজুহাতে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার চেষ্টা করা।
৩/ রাতারাতি কোন মানুষকে জীবনে একসাথে চলার স্বপ্ন দেখানো আর সুযোগ স্বার্থ অনুযায়ী সবকিছু মিথ্যে বলে,ভুলে যেতে বলে পুরো ব্যাপারটা কেই একতরফা ভালোবাসা বলে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা।
৪/সামান্যতম কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে,সব দোষ অন্যজনের ওপর আরোপ করে সেই সম্পর্ক থেকে রাতারাতি বেরিয়ে যাওয়া।
৫/ পাশের মানুষটিকে কোনো না কোনো ভাবে অযোগ্য,ভুল,মিথ্যেবাদী প্রমাণ করার চেষ্টা করা।
৬/পাশের মানুষটিকে তার আত্মবিশ্বাসের জায়গা থেকে একটু একটু করে সরিয়ে দিয়ে তার সম্ভাবনা আর প্রতিভার জায়গাটাকে ধ্বংস করা।
৭/ ঝগড়াঝাঁটির সময় নারী চরিত্র নিয়ে নোংরা মন্তব্য করা এবং অশালীন কথাবার্তা বলা।
৮/ প্রেমিকা বা স্ত্রীকে সবার সামনে অপদস্ত
করে আনন্দ পাওয়া।
৯/ সব সময় কোন না কোন অজুহাতে,পাশের মানুষটিকে কিছু না কিছু প্রমাণ করে দেখানোর চক্রভিউয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া।
১০/পাশের মানুষটির যেকোনো সফলতাকেই তার ছলা কলা বা মিথ্যাচার বলে মানতে না চাওয়া এবং উপহাস করা।
১১/ অন্য যেকোনো নারীর সাথে কারণে-অকারণে পাশের মানুষটিকে তুলনা করে তার অস্তিত্বকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করা।
১২/ নিজের দোষ বা ঘাটতিকে ঢাকার জন্য সবসময় ভরং সরং বা আক্রমণাত্মক একটা হাবভাবে থেকে অপরপক্ষকে কোন ঠাসা করে দেওয়ার চেষ্টা করা।
১৩/ মিথ্যে কথা বলে দিনকে রাত বা রাতকে দিন বানিয়ে বিভ্রান্ত করায় দক্ষ হওয়া।
১৪/ অনেক ক্ষেত্রেই নীল ছবির নীল পরীদের নীল স্বপ্নে বাড়াবাড়ি রকম আসক্ত হয়ে পাশের মানুষটিকে তাদের সাথে তুলনা করা এবং তার
মধ্যে অকারণ হীনমন্য বোধ সঞ্চার করার চেষ্টা করা।
১৫/ সমাজের কাছে অতিরিক্ত মাত্রায় ইমেজ সচেতন হওয়া আর আড়ালে নোংরা ভাষা এবং অমানবিক আচরণে দক্ষ হওয়া।
১৬/যে কোন মানুষের কথায় যখন তখন নেচে উঠে বা প্রভাবিত হয়ে পাশের মানুষটিকে হেনস্তা করা।
১৭/পাশের মানুষটিকে সবসময় আশাহত করে আনন্দ পাওয়া।
১৮/ কথায় বাড়াবাড়ি রকমের আদর্শের দৃষ্টান্ত দেওয়া অথচ কাজের ক্ষেত্রে ঠিক তার উল্টোটাই করা।
২০/আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য বা আত্মরক্ষার জন্য,
নারীটির দুর্বল মুহূর্তে বলা কথাগুলো কে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাওয়া।
২১/ সম্পর্ক তৈরীর সময় নিজেকে অতিরিক্ত
মাত্রায় স্বাবলম্বী আর স্বাধীনচেতা বলে প্রতিপন্ন করা এবং স্বার্থ শেষে দুগ্ধপোষ্য শাবক বনে গুরুজনদের দোহাই দিয়ে নিজেকে অসহায় বলে প্রতিপন্ন করা।
২২/ অন্যায়ের প্রতিবাদকারী নারীকে পাগল প্রতিপন্ন করে তার জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলার চেষ্টা করা।
২৩/ পারস্পরিক সম্পর্ককে শুধুমাত্র লাভ লোকসানের আওতায় ফেলে,নিজের মর্জি মতো পাশের মানুষটিকে পরিচালিত করার চেষ্টা করা বা বিভ্রান্ত করা।