“মন পাঁচালী”
কলমে সোনালী

মনের খাতা,মনের পাতা,মনের কলম দিয়ে,

মনের কথা,মনের ব্যথা, লিখল যেন কে।

নাম-না-জানা গভীর দিঘী,পানকৌড়ির ডুব,

শ্যাওলা পড়া পেছল ঘাটে,মাছরাঙ্গা নিশ্চুপ।

রাধাচূড়ার কাঁচা হলুদ আর পলাশ বনের

আগুন,বিষাদ ঘোলা কালো জল আর কিশোরী

বেলার ফাগুন।  তপ্ত  দুপুর, সিক্ত বিকেল,

রুপোলী চাঁদ খালি,একলা রাত,হিমেল ফাঁদ,

স্বপ্নে চোরাবালি।দূরের আকাশ মায়াবী বাতাস,

নদীর বুকে ঢেউ,জল শুকলো পাড়া জুড়োলো

ফিরল না আর কেউ। বইয়ের খাঁজ, বুকের  ভাঁজ,

তাজমহলের ছবি,সবার চোখের আড়াল খুঁজে,

লুকিয়ে প্রেমিক কবি।সন্ধ্যেবেলার মাধবীলতা,

চাঁদ জ্যোৎস্নায় স্নান,পরের বছরই একলা ছাদ,

অমাবস্যায় ম্লান। বাড়ির চাতাল মন মাতাল,

কানামাছির ধুম, কুমির ডাঙ্গায় রুমাল খোঁজে,

প্যাঁচার আফিম ঘুম। নাদুসনুদুস স্নেহের হাত,

পুলি পায়েসের আদর, উলুধ্বনি  লক্ষ্মীর ঘট,

পরব,টুসু, ভাদর। লাটাই হাতে বুড়ো খোকন,

রংবেরঙের ঘুড়ি, কাস্তে হাতে,বাঁচতে না পেয়ে,

মদিনা চাষার ছুঁড়ি। সোনার কেল্লা,অরণ্যদেব,

ভূতের রাজার বর, সাঁকোটা এখনো দুলছে

আনোয়ার, শুধু আপন হয়েছে পর।