মা সিঙ্গেল হলে,সমাজের তাকে নিয়ে অনেক মাথাব্যথা হয় অর্থাৎ তিনি তার সন্তানকে সঠিকভাবে প্রতিপালন করতে পারবেন কিনা??তার চালচলন, স্বভাব চরিত্র সঠিকভাবে পরিচালিত করে,তিনি তার সন্তানকে সঠিক সংস্কার দিতে পারবেন কিনা?? এককভাবে প্রতিপালিত হওয়া সন্তানরা বিকৃত মস্তিষ্কের হবে কিনা?? তারা পরবর্তীকালে ড্রাগ আসক্ত,অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত,কোন আতঙ্কবাদী বা অপরাধ প্রবণ  হবে কিনা??এসব নিয়ে আমাদের সমাজের সকলের দুশ্চিন্তার শেষ নেই এবং সেই সংক্রান্ত লম্বা চওড়া ভাষণেরও অন্ত নেই।
কিন্তু আজ আমি এই বিষয়টার ওপর আরো কয়েকটি দিক থেকে আলোকপাত করার চেষ্টা করব যে গুল প্রত্যেকেরই শুনতে ভাল লাগবে বা মনমত হবে এমন কোন প্রত্যাশা নেই আমার। কিন্তু আমি এই কথাগুলো আজকে এই কারণেই বলব বা লিখব কারণ এর প্রত্যেকটির ই একটা যুক্তিসঙ্গত,বাস্তব সম্মত,বিজ্ঞানসম্মত এবং মনস্তত্ত্ব সঙ্গত যুক্তি আছে আমার কাছে, যা নিছক কোন অনুভূতি বা আবেগের বশবর্তী হয়ে, চিরাচরিত কিছু ধ্যানধারণাকে খোঁচা দেওয়ার জন্য নয়।
তাই অনুরোধ রইল লেখাটা পড়ে,আমি নারী পন্থী, না পুরুষ পন্থী, না উগ্রপন্থী সেসব ভাবনা চিন্তা না করে, মন মানসিকতার দোর দরজা যতটা সম্ভব খুলে দিয়ে,একটু যুক্তি দিয়ে ভেবে দেখবেন যে, সত্যি সত্যিই কথাগুলোর মধ্যে কোন যৌক্তিকতা আছে কিনা।
সবাই চান একটা সুস্থ স্বাভাবিক সুখী পরিবার। খুব কম সংখ্যক পুরুষ আর নারী ই আছেন যারা এই আওতার বাইরে ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন বা ফুর্তি করে বনের মোষ তাড়াবেন বলে নিজেদের ঘরগুলোকে নিজেরাই ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে আনন্দ পান। তবে অবশ্যই এমনও কিছু মানুষ আছেন যারা জীবনটাকে অন্যভাবে,অন্য রূপে দেখতে বা ভাবতে বা যাপন করতে ভালোবাসেন, যদিও সেবিষয়তাদের হয়তো কিছু যুক্তি,দার্শনিকতা বা চিন্তাভাবনা আছে।
যাইহোক উদাহরণ দিয়েই বোঝাই এবার ব্যাপারটা।একটা সুন্দর বাড়ি… সেখানে আরো অনেকগুলো সম্পর্কের মাঝখানে একজন বাবা,একজন মা তাদের একটি বা দুটি সন্তান। ঠিক যেন ফুলের বাগানের মতই একটা চিত্র বলে মনে হচ্ছে তাই না? সেই সন্তানটি বা সন্তান দুটি একসাথে একই ছাদের তলায় তার মা বাবা দুজনেরই আদর,যত্ন,ভালবাসায় প্রতিনিয়ত প্রতিপালিত হচ্ছে। বাড়িতে হয়তো আরো কিছু মানুষ আছেন যাদের থেকেও ছোট ছোট শিশুগুলো স্নেহ পাচ্ছে,তাদেরই সাহচর্যে হয়তো রাত্রিবেলায় ঠাকুরমার ঝুলি বা ঠাকুরদাদার ঝুলি থেকে বেরিয়ে আসছে রূপকথার অগণিত চরিত্র। বেল কুমার, নীল পরী, লাল পরী আর ব্যঙ্গ মা ব্যাঙ্গমীরা। চিত্রটা কি সুন্দর না!! একেবারে পরিপূর্ণ একটা নিখুঁত চিত্র যা নিঃসন্দেহে একটা সুস্থ,স্বাভাবিক পরিবেশের বর্ণনা দিচ্ছে। আশ্বাস দিচ্ছে। যেখানে বেড়ে ওঠা বাচ্চাগুলোর কাছে স্পষ্ট পরিবারের মর্ম, পরিবারের কাঠামোর গুরুত্ব,পারস্পরিক সম্পর্কের মূল্য বোধ, তাদের কাছে স্পষ্ট, শ্রদ্ধা – ভালোবাসা, সুখ-দুঃখের মত অনুভূতিগুলোর গুরুত্ব।
কিন্তু চিত্রটা যদি অন্যরকম হয়,ধরুন বাবা অথবা মা কেউ একজন ব্যভিচারী বা ব্যভিচারিনি। যিনি প্রত্যেকদিন মধ্যরাত্তিরে বাড়িতে ঢুকছেন টলতে টলতে,কোন পুরুষ সঙ্গী বা মহিলা সঙ্গিনী টি কে সঙ্গে নিয়ে আর ঢুকেই উশৃংখল জীবনযাপনে মেতে উঠছেন, একে অপরকে দোষারোপ করছেন,গলা চড়িয়ে নোংরা ভাষায় গালাগাল করছেন…… মাগিসাগি ব***** ব*****, ইত্যাদি যাতে চারপাশে তাদের ক্ষমতা প্রদর্শনের নমুনা ছড়িয়ে পড়ছে। এবং জীবন সঙ্গিনী টিকে উপেক্ষা করে,অবজ্ঞা করে,অষ্টপ্রহর তাকে পাগল সাব্যস্ত করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে ছড়ার ঘৃণ্য চক্রান্ত করে, পাড়া এবং সমাজের কিছু মানুষের কাছে আবার ভালো সাজার নাটক করে যাচ্ছেন,ভর সন্ধে থেকে মাঝরাত্রি বা ভোর রাত্রি অবদি,নীল ছবির নীল পরীদের ঘোরে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে থাকছেন,আর তার এই অস্বাভাবিক আচরণে অতিষ্ট হয়ে যখন অপরপক্ষ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন বা রুখে দাড়াচ্ছেন,তখন তার পরিনাম স্বরূপ ঘটনাটা হাতাহাতি, মারামারি,কাটাকাটির ভয়াবহ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছাচ্ছে,তখন আতঙ্কিত বিপন্নতা বোধে জর্জরিত তাদের শিশু বা বালক বা বালিকাটি হয়তো মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি খেয়ে,কাতর প্রার্থনা জানাচ্ছে বা আর্তনাদ করছে,আমার মাকে মেরো না। আমার মাকে ছেড়ে দাও। অথবা আমার বাবা কিছু করেনি আমার বাবার কোন দোষ নেই‌। আর তাতেও যখন নির্বিকার হয়ে একটি বা দুটি প্রাণী একে অপরের ওপর জানোয়ারের মত ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজেদের লাগামছাড়া দাপট,নিষ্ঠুরতাকে প্রদর্শন করে যাচ্ছে, সেখানে দাঁড়িয়ে কি রায় দেওয়া উচিত আমাদের সমাজের সেই শিশুটির ক্ষেত্রে বা শিশুদের ক্ষেত্রে?? কোন পরিস্থিতিটা সুখকর এই সন্তানদের জন্য ?? একই ছাদের তলায় বাবা-মা দুজনকে নিয়ে এই নারকীয় পরিবেশের মধ্যে তিলে তিলে শেষ হয়ে যাওয়া??তাহলেই সবটা ঠিক হয়ে যাবে ?? তাহলেই তারা আর মাদকাসক্ত, ড্রাগ আসক্ত, বিকৃত মস্তিষ্কপ্রবণ হবে না?? একেবারে নিশ্চিত তো আমরা সবাই?? সেখানে কি বলবে সমীক্ষার রিপোর্ট??? সে নিয়ে মাথা ব্যথাটা বোধহয় অনেক কম !!
যতটা না সিঙ্গেল মাদার কি করে তার সন্তানকে মানুষ করবে এবং তার পরিণাম কি হবে তার নিয়ে।
ওই ছোট্ট নিষ্পাপ কোমল মনে এই ধরনের পৈশাচিক আচরণের পরিণাম কি ভয়াবহ হতে পারে সে নিয়ে ততোটা মাথা ব্যথা নেই আমাদের সমাজের কারোর!!
আজব তো!! আপনার যদি একটা হাতে গ্যাংরিং হয় বা ক্যান্সার হয় আপনি বা আমি বা আমরা কি করব ?? আহারে!! আমার হাত তো,ডান হাত বা বাঁ হাত দুটো মিলিত থাকলেই আমার শরীরটা সম্পূর্ণ বলে ভাবতে ভালো লাগবে বলে আহ্লাদ দিয়ে একটা হাতে ছড়িয়ে পড়া বিষ কে প্রশ্রয় দিয়ে বাবা-বাছা করে আগলে রেখে, একটু একটু করে ছড়িয়ে পড়তে দিয়ে, সারা শরীরটা কে পচিয়ে ফেলবো?? যাতে শেষ মেষ সেই বিষ আমাদের গোটা অস্তিত্ব বা সত্তা টাকেই বিলুপ্ত করে দেয়??? এই পন্থা নেব আমরা?? নাকি ওই বিষাক্ত অঙ্গ টুকুকে কেটে বাদ দিয়ে দেব শরীর থেকে?? যাতে যত কষ্ট ই হোক না কেন,
বা অসুবিধাই হোক না কেন,বা যত দ্বিধা সংকোচ বা জিজ্ঞাসার সম্মুখীন হতে হোনা কেন,পুরো শরীরটাকে বাঁচানোতখন বেশি জরুরি হয়ে পড়ে।এই সামান্য কথাটা তো আমাদের না বোঝার নয়!!খুব সুখে ভোগে আহ্লাদ বা বিলাসিতার ববর্তী হয়ে, বিনা কারণে কেউ কোনদিন তার অঙ্গচ্ছেদ করেনা, বা কোন একটা অপূর্ণতাকে স্বেচ্ছায় আহ্বান করে না।
এই কথাটা এইভাবে বলার উদ্দেশ্য একটাই একজন সিঙ্গল পেরেন্ট ( মাদার অথবা ফাদার) যখন একার দায়িত্বে তার সন্তানকে প্রতিপালিত করেন,তখন পরিস্থিতি এবং পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতে তা অনেক সময়ই যৌথ ভাবে প্রতিপালনের থেকে বা সমবেতভাবে, পুরো পরিবারের দ্বারা প্রতিপালিত হওয়ার থেকে অনেকাংশেই উচ্চতর এবং শ্রেষ্ঠতর হয়ে থাকে। যা শিশুটির বা সন্তানটির সামগ্রিক উন্নতিতে বহুল পরিমাণে কার্যকর হয়। যা তাকে একটা বিষাক্ত পরিবেশের থেকে মুক্ত করে মানসিক,শারীরিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়।
একজন মাতাল, ব্যভিচারী, অনাচারী,অত্যাচারী, মিথ্যাচারী,নিষ্ঠুর মনোভাবাপন্ন আপন জনের সান্নিধ্যে প্রতিপালিত হওয়ার থেকে অনেকাংশেই শ্রেয়,পরিস্থিতি অনুযায়ী কোন সিদ্ধান্তের ফলশ্রুতি হিসেবে একক অভিভাবকত্বের সাহচর্যে বেড়ে ওঠা সন্তানদের জীবন এবং ভবিষ্যৎ।
তাই একক মায়ের পরিচর্যায় বা সান্নিধ্যে প্রতিপালিত হলেই সন্তান উগ্রপন্থী,আতঙ্কবাদী বা বিকৃত মস্তিষ্কের হবে এমন কোন কথা নেই আর কথায় কথায় নিজেদের মনে হওয়া গুলোকে নিজেদের স্বার্থে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য, সমীক্ষার দোহাই দিয়ে জাস্টিফাইড রা বন্ধ হোক। নাহলে বলতে বাধ্য হব এই সমীক্ষা আজকাল বড্ড একপেশী হয়ে উঠছে। যা কিছু কিছু মানুষের আখের গোছানোর জন্য উপযুক্ত হলেও সমাজের সামগ্রিক দিকে আলোকপাত করার জন্য যথেষ্ট নয়।
কারণ যে স্টেটে বা দেশে শিক্ষা মন্ত্রক থেকে খাদ্য মন্ত্রক এবং আরো নানান মন্ত্রক ভেজালে এবং দূষণে আপাদমস্তক জর্জরিত,যেখানে ভুয়ো ডিগ্রী,ভুয়ো চাকরি,ভুয়ো প্রতিশ্রুতি সেখানে বিপর্যস্ত পরিকাঠামোর মধ্যে কোন কোন ক্ষেত্রে সমীক্ষার রিপোর্টের সত্যতা নিয়েও সমীক্ষা কমিশন হওয়া দরকার।
কারণ আমরা অনেকেই নিজেদের মতাদর্শকে সমাজের মধ্যে গেঁথে দেওয়ার জন্য কথায় কথায় সমীক্ষার রিপোর্টকে আমজনতার মুখে লেবেন চুষের মত ঠুসে টুসে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তাই সমীক্ষার রিপোর্টে যদি কোন নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কোন নির্দিষ্ট কিছু বলা হয়ে থাকে, বা বোঝা যায় তাহলে সেই রিপোর্টের সাপেক্ষে সেই বিষয় নিয়ে তার সামগ্রিক আলোচনা ও সামনে আসা দরকার। না হলে তা বড্ড একপেশে হয়ে যাবে।
তাই একই ছাদের তলায় অযোগ্য বাবা-মায়ের সান্নিধ্যে প্রতিপালিত হওয়া সন্তানদের মধ্যেও, তাহলে কত শতাংশ বাচ্চারা মানসিকভাবে অসুস্থ এবং বিকৃত মস্তিষ্কের হয়ে উঠছে, তাদের আচার-আচরণের মধ্যেও কতভাবে সমাজবিরুদ্ধ কার্যকলাপের বীজ বপিত হচ্ছে যা একসময় অসামাজিক কার্যকলাপের শাখা-প্রশাখা বিস্তারকারী মহীরুহু হয়ে গ্রাস করে ফেলছে স্বাভাবিক জনজীবন, তারও যথাযথ সমীক্ষার রিপোর্ট সবার সামনে আসা দরকার।
আরেকটা কথা অবশ্যই বলব একটা বিষয় নজরে আসে, মা যদি বিধবা হন অর্থাৎ বিধাতার কোপে যদি তিনি স্বামী হারান তাহলে সেই বিধবা মায়ের বৈধব্য দশায় প্রতিপালিত হওয়া সন্তানদের নিয়ে আমাদের সমীক্ষা বোধহয় ততটা ঋণাত্মক নয় বা সমাজও নয়। কিন্তু মা যদি সন্তানটির বাবার বা শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য কোন সদস্যের অত্যাচারে বা মানসিক নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে তার সন্তানটিকে নিয়ে একক ভাবে থাকার সিদ্ধান্ত নেন,বা মাথা উঁচু করে কোন না কোনভাবে সন্তানটিকে সর্বদিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার সহায়ক হন তাহলে আমাদের সমাজের ঘোরতর অসুবিধা হয়।
এর পেছনের মনস্তত্ত্ব টা বোধহয় অনেকটা এরকম যে, একজন বিধবা মা মানে,তিনি স্বেচ্ছায় কিছু করতে চাননি। দুর্ভাগ্যক্রমে স্বামীটিকে হারিয়ে একা হয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তাই কোথাও যেন তার সাথে একটা বিপন্নতা বা অসহায়তার বোধ জুড়ে থাকে যা আত্মতুষ্টি দেয় বেশিরভাগ মানুষকে,কারণ আপার হ্যান্ডে থেকে আমরা তাকে একটু বেচারা ভেবে বা তাকে কোনো না কোনো দিক থেকে একটু আহারে উহারের জায়গায় দাঁড় করিয়ে তৃপ্তি পাই। কিন্তু যিনি সিঙ্গেল মাদার তথা সিঙ্গেল প্যারেন্ট তার ক্ষেত্রে তার এই সিঙ্গেল স্ট্যাটাসটার মধ্যে যেন একটা স্বেচ্ছাচারিতা, দাপুটে ব্যক্তিত্বের উদ্ধত্য প্রতিফলিত হয়,যা অনেক ক্ষেত্রেই সত্যি না হলেও আমরা তেমনটা অন্তত ভেবে অকারনেই তাকে আমাদের অপছন্দের বা অস্বীকৃতির তালিকায় ফেলে ভুল বলে ভাবতে ভালোবাসি আর এই জন্য ই এটাকে এক ধরনের ধৃষ্টতা বলে মনে করি আর এর পেছনে থাকা যন্ত্রণা বা বঞ্চনার ইতিহাস গুলোকে তার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য বানানো আজগুবি গাল গল্প ভেবে, আনন্দ পাই। তারা আমাদের চিরাচরিত বেচারা গোছের ফরম্যাটৈর মধ্যে খাপ খান না। তাই আমরা তাদের চালচলনকে কোন না কোন ভাবে বেঠিক ভেবে নিজেদের চিন্তাভাবনার সীমাবদ্ধতা গুলোকে জাস্টিফাইড করে নিজেদেরকে সিকিওর করতে চাই।
এমন অনেক বিধবা মা আছেন যারা একক ভাবে লড়াই করে,অনেক কষ্ট করে তাদের সন্তানদের মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন, যা এক ছাদের তলায় থেকে সমস্ত সুযোগ সুবিধায় থাকা, সম্পর্কের পরিচিত কাঠামোয়ের আওতায় থাকা অনেক মায়ের পক্ষেই সম্ভব হয়নি বা হয় না।
তাই যে কোন কিছুরই যেকোনো ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে এটা আমাদের বোঝা দরকার। যদি অনেকে বা অনেক গুলো সমবেত সম্পর্ক কোন শিশুর জন্য মঙ্গলকর হয়,তবে নিঃসন্দেহে তা ভালো কিন্তু যদি তা ভালোর বদলে মন্দই করে বেশি, তাহলে সে ক্ষেত্রে শিশুটির জন্য কি করা উচিত?? চিরাচরিত সম্পর্ক,পরিবার,আত্মীয়তা এসবের দোহাই দিয়ে তার মাঝখানে তাকে তিলে তিলে নরকের পথে পাঠিয়ে দেওয়াটা উচিত ?? এই প্রশ্নটিই একজন লেখিকা হিসেবে ও সাধারণ মহিলা এবং মা হিসেবে আমি সমাজের কাছে রাখলাম। আশা করি আপনারা বিষয়টি পড়বেন, ভাববেন এবং যুক্তিসম্মত ভাবে এর একটা উত্তরও খুঁজবেন।
…………
কলমে সোনালী