“ঢেউ”

কলমে সোনালী

 আমি ঢেউ,যুগ যুগ ধরে বয়ে চলা,

আদি অনন্ত ঢেউ।আমাকে সাক্ষী রেখে,

কথা দিয়েছে কেউ,ভালবেসেছে কেউ,

আবার দুচোখে এক পৃথিবী স্বপ্ন নিয়ে,

একটু একটু করে রোজ ফুরিয়ে গিয়েছে কেউ।

আমি যুগ যুগ ধরে বয়ে চলা,

এক আদি অনন্ত ঢেউ।

আমি শুনেছি  ঝিনুকের কোড়কে,

মুক্তোর  হৃদস্পন্দন,  আমি দেখেছি,

মায়াবী নীলরাতে,স্বপ্নপরীদের জলকেলি,

নগ্ন শরীর   চুঁইয়ে চুঁইয়ে  ঝরে পড়া,

বভুক্ষু আদরের মাতাল ফোয়ারায়,

এক  জোড়া  অভিমানী চোখে,

প্রতারক প্রেমিক স্মৃতির প্রতিফলন।

আমি জেনেছি অক্ষমের জ্যামিতিক ঝান্ডা,

আর সক্ষমের দম্ভের বুদবুদ,আসছে বছর

আবার হারিয়ে যায়,মুখ ঢাকে অহেতুক,

অবাঞ্ছিত অস্তিত্বহীনতায়।

আমি মেনেছি,গভীরে তলিয়ে যাওয়া,

সপ্তডিঙ্গা মাধুকরিও,ক্ষমতার স্বেচ্ছাচারী

অঙ্গুলি হ্যালনে,জাদুকরি কারসাজিতে,

ছেলে ভুলায় অচল ভাস্কর্যের মহিমায়।

আমি বুঝেছি,আমার বুকে অস্তমিত,

এক একটি দিন,যেন মৃত্যুর কাছে চাওয়া,

জীবনের শেষ অনুমতি,

আমি জেনেছি,দুঃখের ছাই থেকে,

জন্ম নিয়ে আবার,সূর্যের সোনালী আলো,

ডানা ভরে মেখে অনন্ত আকাশের দিকে

উড়ে যায় পাখি।