স্বাধীনতা তুমি
কলমে- সোনালী
স্বাধীনতা তুমি,শুধু ১৫ই আগস্ট,
বা উত্তলিত ত্রিরাঙ্গা নও।
স্বাধীনতা তুমি,শুধু বুড়িবালামের তীর,
বা মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা,স্বৈরাচারী
শাসনের চারপাশে মাথা তুলে থাকা,
সজীব সতেজ কিশলয় নও।
স্বাধীনতা তুমি, কোন এক কুমারী
মায়ের,নিজের পরিচয়ে বড় করে
তোলা,নিষ্পাপ পথ শিশু।
স্বাধীনতা তুমি,কোন এক নিঃসঙ্গ দুপুরে,
ততোধিক নিঃসঙ্গ কোন এক বৃদ্ধের,
ও পাড়ার ফুল দিদিমার ধবধবে সাদা
চুলে,গুঁজে দেওয়া টকটকে লাল ফুল।
স্বাধীনতা তুমি,শত অপমানে,
চৌকাঠ আঁকড়ে পড়ে থাকা,
অবাঞ্ছিত বউটার একদিন,
ছিছিক্কার তুরি মেরে,চৌকাঠ ডিঙানো।
স্বাধীনতা তুমি,প্রতিরাতে বধূবেশে
নিঃশেষিত হতে থাকা,কোন এক
ক্লান্ত তরুণীর বলিষ্ঠ জিজ্ঞাসা,
“আমি কেন তোর বউ হতে পারি না বাবু?
“স্বাধীনতা তুমি,দ্রৌপদীর অর্জুনের
কাছে করা প্রশ্ন,”প্রেয়সী নির্বাচন আর
রাত্রিযাপনের রঙিন মাদকতায় যদি
গান্ডীপধারী আপনি দুগ্ধপস্য শাবক
নন,তাহলে আমাকে পঞ্চ স্বামীর
বিছানায় ভাগ হতে দেখেও আপনার
প্রতিবাদ হীনতা কি ছিল শুধুই
মাতৃ আজ্ঞা পালন?”
তাই স্বাধীনতা মানে,শুধুই বাপুজির
হাত ধরে আইন অমান্য নয়,
স্বাধীনতা মানে,শুধুই কিছু মুষ্টিবদ্ধ
উত্তোলিত হাত বা প্রতিরক্ষা বাহিনী নয়,
স্বাধীনতা মানে, কিছুটা হলেও শানীত
কলমের ডগায়,জীবন আর জগতটাকে বদলে ফেলার,এক অপ্রতিরোধ্য আস্পর্ধা।